loading...

ব্রেকআপের পরে মন খারাপ যে ভাবে কাটাবেন

ভালোবাসার সম্পর্ক যেমন গড়ে ওঠে ঠিক তেমনই ভাঙারও সম্ভাবনা থাকে। নানান কারণে অনেক সময়ে ভেঙ্গে যায় একটি সাজানো গোছানো সম্পর্ক। সম্পর্ক গড়ার সময়টি যত মধুর, ভাঙার সময়টি ঠিক ততোটাই কঠিন। আর তাই ব্রেকআপের কথা শুনলেই আঁতকে ওঠেন অনেকে। কী হয় ব্রেকআপের পর? কীভাবে কাটে সময়গুলো প্রিয় মানুষটির অস্তিত্ব ছাড়া? মজার ব্যাপারটা হচ্ছে ব্রেকআপের পর কমবেশি এই ঘটনাগুলো ঘটে সকলের সাথেই। একটার পর একটা ধাপ আসতেই থাকে, যতক্ষণ পর্যন্ত না ঘটনাটি থেকে বের হয়ে আসেন আপনি। ধাপ গুলো কখনো কষ্টের, কখনো আবার বেশ অদ্ভুতও বটে!


ব্রেকআপের পরপরই মানুষ অস্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে ঝুঁকে পড়ে। অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার, চকলেট, ডেসার্ট, কোক, মদ, সিগারেট নেশাদ্রব্য ইত্যাদি বস্তুর প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যায় অধিকাংশ মানুষের। ক্ষনিকের ভালোলাগার জন্য এসব অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে শরীরের ক্ষতি করে ফেলে মানুষ। এগুলো খাওয়ার পর কিছুক্ষণ মন ভালো থাকে। এরপর আবারও মনে পড়তে থাকে পুরোনো সম্পর্কের সব স্মৃতিগুলো।

এরপরই মানুষ সহায়তা চায় বন্ধুদের। বন্ধুদেরকে নিয়ে ঘুরে ফিরে, সময় কাটিয়ে, আড্ডা দিয়ে মনটাকে ভালো করার চেষ্টা করে অধিকাংশ মানুষ। নিজের কাছের বন্ধুদের কাছে ব্রেকআপের ঘটনা গুলো বলে মনটাকে হালকা করতে চায় সবাই।

কয়েকদিন কেটে যাওয়ার পর যখন বুঝতে পারেন যে সত্যিই ব্রেকআপটা হয়ে গিয়েছে তখন ফেসবুকের রিলেশনশিপ স্ট্যাটাসটা পরিবর্তন করেন। ‘ইন এ রিলেশনশিপ’ থেকে ‘সিঙ্গেল’ অথবা ‘কমপ্লিকেটেড রিলেশনশিপ’ দিয়ে দেন অনেকে। প্রাক্তন প্রেমিক/প্রেমিকাকে ফেসবুক থেকে আনফ্রেন্ডও করে দেন অনেকে এই ধাপে।

আরও পড়ুন: সুখ গেছে হারিয়ে? বিয়ের পর বদলে গিয়েছেন স্বামী বা স্ত্রী? জেনে নিন কী করবেন আপনি

এই ধাপে অধিকাংশ মানুষই একটি বড় ভুল করে ফেলেন। আর তা হলো হুট করে নতুন কোনো সম্পর্কে জড়িয়ে ফেলা নিজেকে। প্রাক্তন প্রেমিক/প্রেমিকাকে হিংসা করানোর জন্য অথবা আপনি তাকে ছাড়া সুখী আছেন সেটা দেখানোর জন্য অনেকেই হুট হাট করে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে ফেলে নিজেকে যা খুবই ক্ষণস্থায়ী হয়। এতে সম্পর্কের প্রতি অবশিষ্ট শ্রদ্ধাটুকুও হারিয়ে যায় মন থেকে।

এবার মনে মনে প্রতিজ্ঞার পালা। কোনো দিনও আর অন্য কারো প্রতি আকৃষ্ট হবে না। কোনো সম্পর্কেই আর জড়াবেন না নিজেকে। সম্ভব হলে বিয়েই করবেন না। একা থাকবেন সারাজীবন এবং একাই ভালো থাকবেন আপনি। নিজের কাছে নিজে এই প্রতিজ্ঞা করেন অধিকাংশ মানুষ এই ধাপে।

বন্ধুদের সাথে মজার কিছু করতে ইচ্ছে করে। হঠাৎ করেই নিজেকে অনেক বেশি হাসিখুশি মনে হয় নিজের। সবার সাথে রসিকতা, হাসি ঠাট্টায় মেতে ওঠার প্রবণতা বেড়ে যায়। নিজেকে অনেক বেশি সুখী দেখানোর চেষ্টায় মত্ত থাকেন বেশিরভাগ মানুষ।

এবার ধীরে ধীরে নিজেকে সারিয়ে নেয়ার পালা। এই ধাপে নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন অধিকাংশ মানুষ। যখন বুঝতে পারেন যে নিজেই নিজের জীবনটাকে নষ্ট করছেন প্রাক্তন প্রেমিক/প্রেমিকার জন্য তখন অনেকেই নিজেকে শুধরে নিতে চান। আর তাই ভালো কোনো গঠনমূলক কাজে নিজেকে জড়িয়ে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করেন বেশিরভাগ মানুষ।

জীবনটা এভাবেই এগিয়ে যেতে থাকে। এরপর হঠাৎ একদিন বুঝতে পারেন যে জীবনটা আসলেই সুন্দর। পুরোনো সম্পর্কের প্রতি টানটা একেবারেই নেই সেটাও বুঝে যান আপনি। তখন মনে মনে হাসেন এটা ভেবে যে কতই না পাগলামী করেছেন প্রাক্তন প্রেমিক/প্রেমিকার জন্য। অর্থহীন পাগলামীর জন্য কিছুটা অনুশোচনাতেও ভোগেন অনেকেই।
loading...