loading...

অ্যান্ড্রয়েডের ৫টি খারাপ দিক

বর্তমানে স্মার্টফোনের দুনিয়ায় যে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমই এগিয়ে আছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। কিন্তু, এই মহাবিশ্বে যখন প্রায় কোন কিছুই পারফেক্ট নয় তাই অ্যান্ড্রয়েডও যে পারফেক্ট হবেনা এটাই স্বাভাবিক।
চলুন তাহলে, অ্যান্ড্রয়েডের ৫টি খারাপ দিক সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
বিজ্ঞাপন
আপনি নিশ্চয়ই বিভিন্ন রকম অ্যাপলিকেশন ব্যবহার বা গেম খেলার সময় বিভিন্ন ধরণের পপ-আপ বিজ্ঞাপন দেখেছেন? বেশ বিরক্তিকর তাইনা? যখন গেম খেলার মাঝখানে পপ-আপ অ্যাড দেখতে পাই, আমার তো বিরক্তই লাগে। হ্যাঁ, এই সমস্যাটি অ্যান্ড্রয়েডের মূল খারাপ দিকগুলোর একটি।
ম্যালওয়ার
কোন অপারেটিং সিস্টেমই শতভাগ নিরাপদ নয় তবে বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্ম হ্যাকারদের একটি মূল টার্গেটে পরিণত হয়েছে। গুগল প্লে স্টোর থেকে ইনস্টলকৃত অ্যাপলিকেশনে যদিও ম্যালওয়ার দ্বারা ইনফেকশনের সম্ভাবনা খুবই কম (০.১ শতাংশ) তবে অন্যান্য অ্যাপ স্টোরগুলো অনেকটাই বিপদজনক।
যেহেতু অনেক ব্যবহারকারীই গুগল প্লে’র সাথে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে থাকে তাই এই বিষয়ক ব্যাক্তিগত তথ্য চুরি করাটা হ্যাকারদের জন্য বেশ লাভ জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ক্রমাগত আপডেট
আপনি নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের তুলনায় অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে আপডেট অনেক বেশি আসে। বলবেন, ‘আপডেট মানেই তো ভালো। সমস্যাটি হচ্ছে, আপনি খেয়াল করবেন যখনই অ্যান্ড্রয়েড আপডেট হয় তখন অন্যান্য অনেক অ্যাপলিকেশন বা গেমসই আপডেট হয়ে যায় এবং সেগুলো ইনস্টল করতে রিকোয়ারমেন্ট প্রয়োজন হয় সর্বশেষ অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণের।
কিন্তু, আমাদের বাজারে যেহেতু শুধুমাত্র ফ্লাগশিপ ডিভাইসই পাওয়া যায়না, বরং আমরা সিম্ফনি, ওয়ালটনের মত লোকাল ডিভাইসও বেশ ভালোই ব্যবহার করি, তাহলে এখন চিন্তা করুন ঠিক কত সংখ্যক ডিভাইস অ্যান্ড্রয়েডের সর্বশেষ সংস্করণ পেয়ে থাকে? ফলে, যে ডিভাইসগুলো আপডেট পায়না সেগুলো বঞ্চিত হয় অনেক প্রকারের অ্যাপলিকেশ ইনস্টল করা থেকেও।
প্রাইভেসি ইস্যু
গুগল আমাদের বিভিন্ন রকম সার্ভিস দেয়ার সাথে সাথে কিন্তু আমাদের তথ্য কালেকশন করছে। একটি কথা কোন মহামানব বলেছিলেন, নাম মনে নেই তবে কথাটা ছিল “Nothing is free” টাইপের, তাই গুগুল তাদের এত এত সার্ভিসের ফলে কিছু যে নিবে এটাই স্বাভাবিক। ট্রেডিং ছাড়া কি চলে? তাই, লোকেশন এক্সেস থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরণের অনুমতি কালেক্ট করে আমাদের জ্ঞানে অজ্ঞানে গুগল কিন্তু ভালোই তথ্য কালেক্ট করে রাখছে। আমরা কয়জনই বা বুঝতে পারছি বলুন?
স্ট্যাবল রিলিজেও বাগ
অপারেটিং সিস্টেম পারফেক্ট হবেনা সেটা আগেও বলেছি, শতভাগ এক্ষেত্রে কখনই সম্ভব নয়। কিন্তু, আবার এও সত্য যে কোন বাগ ধরা পরলে দ্রুতই তা ছোট্ট একটি আপডেটের মাধ্যমে ঠিক করা সম্ভব, বেশির ভাগ বাগ ফিক্সিং সর্বোচ্চ ১০ মেগাবাইট ডাটা খরচ করতে পারে আপনার। তবে সবই মাইনর বাগের ক্ষেত্রে।
তবে অ্যান্ড্রয়েড যেহেতু বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে তাই তাদের কাছ থেকে অন্তত স্ট্যাবল রিলিজে মেজর বাগ থাকা উচিৎ না, তাইনা?
যেমন ধরুন, আন্ড্রয়েড ললিপপের কথাই। এই ভার্সনে র‍্যাম লিকেজ এবং ব্যাটারি ড্রেইনিং সমস্যার এখনো স্ট্যাবল কোন সলিউশন দেয়া হয়নি।
loading...