কিছু লোক চমৎকারভাবে কোনো ঘটনা বা বিষয়বস্তুর পুঙ্খানুপুঙ্খ মনে রাখতে
পারে। আবার খুব সহজেই শিখে নিচ্ছে নতুন কিছু। আর কেউ কেউ আক্ষেপ করে কেন
আমার স্মরণশক্তি কম? তবে কি আমার মেধা কম!
না, আপনার মেধা অবশ্যই কম না। সকলে একভাবে মনে রাখতে পারে না। কারণ, সবার মস্তিষ্কের গঠন একরকম নয়। তবে কয়েকটি কৌশল অবলম্বন করে বাড়িয়ে নেওয়া যেতে পারে স্মৃতিশক্তি।
১. ব্যায়াম: ব্যায়াম শুধু শরীরকেই সচল করে না, এটি মস্তিষ্ককেও সচল রাখে। স্থূলতা এবং অতিরিক্ত ওজন ব্রেইনের জন্যও ক্ষতিকর। নিয়মিত ব্যায়াম না করলে কিংবা শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো সচল না থাকলে রক্তবাহী নালীগুলোতে চর্বি জমে। এতে স্বাভাবিক রক্ত চলাচল ব্যহত হয়। মস্তিষ্কে রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবারাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়। যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে মস্তিষ্কের কোষগুলোও। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো সক্রিয় থাকে। এতে মস্তিষ্কও ধারালো থাকে।
২. মানসিক চাপ কমানো : রাগ, ক্ষোভ বা উদ্বেগ ব্রেনকে কিছু সময়ের জন্য স্থবির করে দেয় যা স্মরণশক্তি কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে পারে। মানসিক চাপের মধ্যে বিষণ্নতা সবচেয়ে বেশি মস্তিষ্কের ক্ষতি করে। বিষণ্ণতা মনোযোগ দেয়ার ক্ষমতা কমিয়ে ফেলে এবং রক্তে করটিসলের মাত্র বাড়িয়ে দেয়। করটিসেলের মাত্রা বেড়ে গেলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমে যায় বিশেষ করে হিপ্পোক্যাম্পাসের। যেখানে শর্টটার্ম মেমোরি সংরক্ষিত থাকে। তাই বিষণ্ণতাসহ সকল মানসিক চাপ যতদূর সম্ভব কমিয়ে ফেলুন।
৩. পর্যাপ্ত ঘুম : একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক আট ঘণ্টা ঘুম দরকার। চমৎকার ঘুম মস্তিষ্ককে অধিক কার্যকরী করে তোলে। ঘুমের সময় সাম্প্রতিক সময়ের তথ্যগুলোকে মস্তিষ্ক সংরক্ষণ করতে থাকে। আর ঘুমকে বলা হয় মেমোরি চার্জার। ঘুমের সময় মেমোরি পরবর্তী স্মৃতি ধরার জন্য প্রস্তুত হয়। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে স্মৃতিশক্তি বাড়ানো যেতে পারে।
৪. সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো লিখে রাখা : যে বিষয়গুলো স্মৃতিতে রাখতে চান তা লিখে ফেলার অভ্যাস করুন। এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও আছে। লেখার সময় মস্তিষ্কে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তপ্রবাহের পরিমাণ বাড়ে। তাই ডায়রিতে, ইমেইলে বা ব্যক্তিগত ব্লগে কোনো কিছু লিখে রাখার চেষ্টা করুন।
৫. গান : গবেষকরা দেখিয়েছেন যে, কিছু সংগীত স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়ক। ব্যাপারটা এই রকম: কোনো ঘটনার সময় যদি কোনো গান শুনেন তবে পুনরায় সেই গান শোনার সময় সেই ঘটনার আবহের স্মৃতি মস্তিষ্কে জেগে উঠে।
৬. পুষ্টিকর খাবার : মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য অবশ্যই ভিটামিনযুক্ত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। তাজা ফলমূল, গাঢ় সবুজ শাকসবজি, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, গমের রুটি প্রভৃতি প্রোটিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন। পরিমাণ মতো বিশুদ্ধ পানি পান করুন। প্রচুর চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করুন। বিশেষ করে বাসি-দূষিত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ওগুলো স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আর ধূমপান ও মাদক সেবন থেকে বিরত থাকুন। এগুলো মস্তিষ্কের জন্য ভয়ানক ক্ষতিকর।
চর্চা আর প্রচেষ্টার মাধ্যমে সব কিছু অর্জন সম্ভব। একটু চেষ্টা করলেই বাড়িয়ে নিতে পারেন স্মৃতিশক্তি।
না, আপনার মেধা অবশ্যই কম না। সকলে একভাবে মনে রাখতে পারে না। কারণ, সবার মস্তিষ্কের গঠন একরকম নয়। তবে কয়েকটি কৌশল অবলম্বন করে বাড়িয়ে নেওয়া যেতে পারে স্মৃতিশক্তি।
১. ব্যায়াম: ব্যায়াম শুধু শরীরকেই সচল করে না, এটি মস্তিষ্ককেও সচল রাখে। স্থূলতা এবং অতিরিক্ত ওজন ব্রেইনের জন্যও ক্ষতিকর। নিয়মিত ব্যায়াম না করলে কিংবা শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো সচল না থাকলে রক্তবাহী নালীগুলোতে চর্বি জমে। এতে স্বাভাবিক রক্ত চলাচল ব্যহত হয়। মস্তিষ্কে রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবারাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়। যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে মস্তিষ্কের কোষগুলোও। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো সক্রিয় থাকে। এতে মস্তিষ্কও ধারালো থাকে।
২. মানসিক চাপ কমানো : রাগ, ক্ষোভ বা উদ্বেগ ব্রেনকে কিছু সময়ের জন্য স্থবির করে দেয় যা স্মরণশক্তি কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে পারে। মানসিক চাপের মধ্যে বিষণ্নতা সবচেয়ে বেশি মস্তিষ্কের ক্ষতি করে। বিষণ্ণতা মনোযোগ দেয়ার ক্ষমতা কমিয়ে ফেলে এবং রক্তে করটিসলের মাত্র বাড়িয়ে দেয়। করটিসেলের মাত্রা বেড়ে গেলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমে যায় বিশেষ করে হিপ্পোক্যাম্পাসের। যেখানে শর্টটার্ম মেমোরি সংরক্ষিত থাকে। তাই বিষণ্ণতাসহ সকল মানসিক চাপ যতদূর সম্ভব কমিয়ে ফেলুন।
৩. পর্যাপ্ত ঘুম : একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক আট ঘণ্টা ঘুম দরকার। চমৎকার ঘুম মস্তিষ্ককে অধিক কার্যকরী করে তোলে। ঘুমের সময় সাম্প্রতিক সময়ের তথ্যগুলোকে মস্তিষ্ক সংরক্ষণ করতে থাকে। আর ঘুমকে বলা হয় মেমোরি চার্জার। ঘুমের সময় মেমোরি পরবর্তী স্মৃতি ধরার জন্য প্রস্তুত হয়। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে স্মৃতিশক্তি বাড়ানো যেতে পারে।
৪. সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো লিখে রাখা : যে বিষয়গুলো স্মৃতিতে রাখতে চান তা লিখে ফেলার অভ্যাস করুন। এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও আছে। লেখার সময় মস্তিষ্কে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তপ্রবাহের পরিমাণ বাড়ে। তাই ডায়রিতে, ইমেইলে বা ব্যক্তিগত ব্লগে কোনো কিছু লিখে রাখার চেষ্টা করুন।
৫. গান : গবেষকরা দেখিয়েছেন যে, কিছু সংগীত স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়ক। ব্যাপারটা এই রকম: কোনো ঘটনার সময় যদি কোনো গান শুনেন তবে পুনরায় সেই গান শোনার সময় সেই ঘটনার আবহের স্মৃতি মস্তিষ্কে জেগে উঠে।
৬. পুষ্টিকর খাবার : মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য অবশ্যই ভিটামিনযুক্ত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। তাজা ফলমূল, গাঢ় সবুজ শাকসবজি, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, গমের রুটি প্রভৃতি প্রোটিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন। পরিমাণ মতো বিশুদ্ধ পানি পান করুন। প্রচুর চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করুন। বিশেষ করে বাসি-দূষিত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ওগুলো স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আর ধূমপান ও মাদক সেবন থেকে বিরত থাকুন। এগুলো মস্তিষ্কের জন্য ভয়ানক ক্ষতিকর।
আরোও পড়ুনঃ ডিম খাওয়া কতটা উপকারি?
৭. অন্যকে শেখান : নিজে যা শিখতে চাচ্ছেন তা একবার শিখে নিয়ে অন্যকে শেখান। আরেক জনকে শেখাতে গিয়ে দেখবেন জানার ঘাটতিগুলো ধরতে পারছেন। আবার আরেক জনকে শেখানোর মাধ্যমে চর্চাও হবে। নতুন কিছু বিষয়ে আপনার কোনো চিন্তা আরেক জনের সঙ্গে শেয়ারও করতে পারেন। তাহলে আপনার স্মৃতিতে তা স্থায়ী হবে। লোকটাকে দেখা মাত্রই বিষয়টি স্মৃতিতে আসবে।চর্চা আর প্রচেষ্টার মাধ্যমে সব কিছু অর্জন সম্ভব। একটু চেষ্টা করলেই বাড়িয়ে নিতে পারেন স্মৃতিশক্তি।